ইতিকাফের নিয়ম (itikafer niyom) ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে আমাদের এই আয়োজন। ইতিকাফ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় যেমনঃ ইতিকাফ কি، কেন এই ইতিকাফ، ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত সহ আরবেস কিছু মাসালা মাসায়েল জানতে আমাদের অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
ইতিকাফ (إيتكاف) আরবি শব্দ، এর আভিধানিক অর্থ অবস্থান করা، স্থির থাকা، কোনো স্থানে আটকে পরা বা আবদ্ধ হয়ে থাকা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় রমজান মাসের শেষের দশ দিন বা অন্য কোনো দিন বৈষয়িক কাজকর্ম ও নিজ পরিবার থেকে হয়ে আল্লাহকে করার উদ্দেশ্যে পুরুষরা ও মহিলারা নির্দিষ্ট একটি স্থানে ইবাদত করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করা ও স্থির থাকাকে ইতিকাফ বলে।
রাসূলুল্লাহ (স) নিয়মিতভাবে প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতিকাফ করতেন এবং সাহাবায়ে কিরামও ইতিকাফ করতেন। নবী করিম (স) ইতিকাফের এত বেশি গুরুত্ব দিতেন যে ، কখনো তা ছুটে গেলে ঈদের মাসে আদায় করতেন।
নবী করিম (স) ইরশাদ করেছেন، 'যে ব্যক্তি রমজানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করবে، তার জন্য দুই হজ ও দুই ওমরার সওয়াব রয়েছে।' (বায়হাকী) ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন ، 'যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিনের ইতিকাফ করল ، আল্লাহ পাক তার ও দোজখের মধ্যখানে এমন তিনটি পরিখা তৈরি করে দেবেন ، যার একটি থেকে অপরটির দূরত্ব হবে পূর্ব ও পশ্চিমেরও বেশি। '(তিরমিযি ও বায়হাকী)
ইতিকাফ ৩ প্রকার। সুন্নত ইতিকাফ، ওয়াজিব ইতেকাফ ও নফল ইতেকাফ।
কাফের এবং মাতাল লোকের ইতিকাফ জায়েজ নেই। ইতেকাফের জন্য জরুরি হলো ، মুসলমান হওয়া ، সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া।
সুন্নত ইতিকাফ ও ওয়াজিব ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত। অর্থাৎ যার রোজা হবে না তার ইতেকাফ হবে না। ইতিকাফের সবচেয়ে বড় রোকন হলো ইতিকাফের পুরো সময় মসজিদের সীমানায়ই অবস্থান করা। ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময়ের ব্যাপারে আলেমগণের মাঝে মতভেদ রয়েছে।অধিকাংশআলেমের মতে ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময় এক মুহূর্তের জন্যও হতে পারে।
ইতিকাফকারী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে ، যার চিকিৎসা মসজিদের বাইরে যাওয়া ছাড়া সম্ভব নয় তবে তার জন্য ইতিকাফ ভেঙে দেওয়ার অনুমতি আছে। [ফতোয়ায়ে শামী] আরও কিছু জরুরী কারন আছে যে কারনে ইতেকাফকারি ইতিকাফ (إيتكاف) ভেঙে দেওয়ার অনুমতি আছে যা আমাদের এই অ্যাপে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সুন্নাত ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর মসজিদের বাইরে চলে আসা জরুরি নয়। বরং বাকি দিনগুলো নফলের নিয়ত করে ইতিকাফ করা যেতে পারে। এর দ্বারা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা তো আদায় হবে না কিন্তু নফল ইতেকাফের সাওয়াব পাওয়া যাবে।
মসজিদ মুসলমানদের ইবদাতের জন্য নির্ধারিত। তাই মসজিদের পবিত্রতা রক্ষায় ব্যবহারিক কিছু শিষ্টাচার রয়েছে যা জেনে রাখা জরুরী।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইতেকাফের নিয়ম (itikafer niyom) গুরুত্ব ফজিলত (itikafer fojilot) বুঝে মাহে রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালনের তৌফিক দান করুক। আমিন।
অ্যাপ ডাউনলোড লিঙ্ক
https://play.google.com/store/apps/details؟id=com.appshouseproduction.itikafer_niyom_o_fojilot
ইতিকাফ (إيتكاف) আরবি শব্দ، এর আভিধানিক অর্থ অবস্থান করা، স্থির থাকা، কোনো স্থানে আটকে পরা বা আবদ্ধ হয়ে থাকা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় রমজান মাসের শেষের দশ দিন বা অন্য কোনো দিন বৈষয়িক কাজকর্ম ও নিজ পরিবার থেকে হয়ে আল্লাহকে করার উদ্দেশ্যে পুরুষরা ও মহিলারা নির্দিষ্ট একটি স্থানে ইবাদত করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করা ও স্থির থাকাকে ইতিকাফ বলে।
রাসূলুল্লাহ (স) নিয়মিতভাবে প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতিকাফ করতেন এবং সাহাবায়ে কিরামও ইতিকাফ করতেন। নবী করিম (স) ইতিকাফের এত বেশি গুরুত্ব দিতেন যে ، কখনো তা ছুটে গেলে ঈদের মাসে আদায় করতেন।
নবী করিম (স) ইরশাদ করেছেন، 'যে ব্যক্তি রমজানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করবে، তার জন্য দুই হজ ও দুই ওমরার সওয়াব রয়েছে।' (বায়হাকী) ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন ، 'যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিনের ইতিকাফ করল ، আল্লাহ পাক তার ও দোজখের মধ্যখানে এমন তিনটি পরিখা তৈরি করে দেবেন ، যার একটি থেকে অপরটির দূরত্ব হবে পূর্ব ও পশ্চিমেরও বেশি। '(তিরমিযি ও বায়হাকী)
ইতিকাফ ৩ প্রকার। সুন্নত ইতিকাফ، ওয়াজিব ইতেকাফ ও নফল ইতেকাফ।
কাফের এবং মাতাল লোকের ইতিকাফ জায়েজ নেই। ইতেকাফের জন্য জরুরি হলো ، মুসলমান হওয়া ، সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া।
সুন্নত ইতিকাফ ও ওয়াজিব ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত। অর্থাৎ যার রোজা হবে না তার ইতেকাফ হবে না। ইতিকাফের সবচেয়ে বড় রোকন হলো ইতিকাফের পুরো সময় মসজিদের সীমানায়ই অবস্থান করা। ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময়ের ব্যাপারে আলেমগণের মাঝে মতভেদ রয়েছে।অধিকাংশআলেমের মতে ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময় এক মুহূর্তের জন্যও হতে পারে।
ইতিকাফকারী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে ، যার চিকিৎসা মসজিদের বাইরে যাওয়া ছাড়া সম্ভব নয় তবে তার জন্য ইতিকাফ ভেঙে দেওয়ার অনুমতি আছে। [ফতোয়ায়ে শামী] আরও কিছু জরুরী কারন আছে যে কারনে ইতেকাফকারি ইতিকাফ (إيتكاف) ভেঙে দেওয়ার অনুমতি আছে যা আমাদের এই অ্যাপে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সুন্নাত ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর মসজিদের বাইরে চলে আসা জরুরি নয়। বরং বাকি দিনগুলো নফলের নিয়ত করে ইতিকাফ করা যেতে পারে। এর দ্বারা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা তো আদায় হবে না কিন্তু নফল ইতেকাফের সাওয়াব পাওয়া যাবে।
মসজিদ মুসলমানদের ইবদাতের জন্য নির্ধারিত। তাই মসজিদের পবিত্রতা রক্ষায় ব্যবহারিক কিছু শিষ্টাচার রয়েছে যা জেনে রাখা জরুরী।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইতেকাফের নিয়ম (itikafer niyom) গুরুত্ব ফজিলত (itikafer fojilot) বুঝে মাহে রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালনের তৌফিক দান করুক। আমিন।
অ্যাপ ডাউনলোড লিঙ্ক
https://play.google.com/store/apps/details؟id=com.appshouseproduction.itikafer_niyom_o_fojilot